মহালছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি(খাগড়াছড়ি) উত্তম চাকমা:খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ি উপজেলাতে ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়ন সিঙ্গিনালা বিলে কৃষকেরা বোরো মৌসুমে ধান আবাদ বিকল্প পদ্ধতি সেচ ব্যাবহার হচ্ছে ডিপ টিউবওয়েল অটো । এই ডিপ টিউবওয়েলে অটোতে কলকল করে পানি অনবরত পড়ে যাচ্ছে স্থানীয় ভাষায় আমরা এগুলোকে অটো পাইপ (স্প্রিং লেয়ার)বলি। যে গভীর নলকূপগুলো থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি বিরামহীন উঠে আসছে। এই এলাকার স্হায়ী বাসিন্দারা যাদের সামর্থ্য আছে তাঁরা ডিপ টিউবওয়েল বসাচ্ছে/বসিয়েছে। কোথাও কোথাও ৪০০ ফুটের গভীরে পাইপ বসানো হলে আপনা আপনি পানি উঠে আসে। তখন অনবরত পানি বের হয়ে আসায় সে পানি ধরে রাখার মতো কোন সিস্টেম না থাকায় জমি গুলো ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এই অগণিত অটো পাইপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ থেকে পানি বের হয়ে অপচয় হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বিনষ্ট হচ্ছে তেমনি জমিগুলো নষ্ট ও আয়রনে পরিনত হচ্ছে এর ফলশ্রুতিতে অদূরভবিষ্যতে বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে।
বোরো মৌসুমে ধান আবাদে খরচ অন্যতম প্রধান খাত হলো সেচ। সরজমিনে দেখা যায় এই সিঙ্গিনালা বিলে কয়েক শত শত একর জমি বোরো ধান আবাদ হয়। বিলে পশ্চিমে আছে চেংগী নদী ১নং মহালছড়ি সদর । সদর ইউনিয়নে মহাজন পাড়া ঘাটে মধ্যা আছে চেংগী নদী। এই চেংগী নদী থেকে সিঙ্গিনালা বিলে পানি সেচ দেওয়া পাকা ড্রেন টা পাচঁ/ ছয় বছর আগে হওয়ার কথা ছিল। কেন হচ্ছে না কয়েক জন কৃষকে সাথে কথা হয়। বরাদ্দ আছে অন্য দিকে নিয়ে যায়। তেমনি এক কৃষক মিকু চাকমা (৩৮) বলেন আমরা হলাম সার্থবাদী শুধু নিজের সুযোগ সুবিধা কথা ভাবি অন্য কথা ভাবি না। এই ড্রেনটা পাকা হলে অনেক কৃষকে হাসিঁ ফুটবে। চেংগী নদী থেকে পানি সেচ দেওয়া সহজ ও উপকার হবে। এই ড্রেন টা ব্যাপারে আরো সাক্ষাৎ হয় ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়নে ৪ নং ওয়াডে মেম্বার চিকু চাকমা (৪০) সাথে। ড্রেনটা হওয়ার কথা ছিল কেন হচ্ছে না এটা স্হায়ী প্রশাসন বা উপর মহল ভালো জানতে পারেন। তিনি নিজেও ভুত্ত ভোগি হতাশা ব্যাক্ত করেন। দৈনিক শিরোমণি প্রত্রিকার প্রতিবেদন কে বলেন প্রশাসন কাছে আকুল আবেদন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জন্য।
প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকা বোরো মৌসুমে বিদ্যুৎ ও ডিজেল অপচয় হচ্ছে। উপকার ভোগী প্রবীন কুমার চাকমা (৬৫) বলেন জ্বালানি তেল খরচ বেশি হওয়া কারণে ডিপ টিউবওয়েল অটো বসিয়েছেন। খরচ দিকটা খতিয়ে দেখলে ডিপ টিউবওয়েল ৩৫ হাজার টাকা খরচ পরলেও ভালো। অন্য দিকে যে জমিতে আয়রনে হয়ে উর্বরতা হারাচ্ছে এটা ঠিক।
এই বিলে কয়েক টা জায়গা পানি সেচ ব্যাবস্তা না থাকাই ডিপ টিউবওয়েল বসাচ্ছেন বসিছেন। সেই টা মানলাম শুধু নিজেদের সুযোগ সুবিধার কথা ভেবেই অবাধে ভূগর্ভস্থের পানি অপচয় করে যাচ্ছি। পানির স্তর নিচে নামতে নামতে কোন একদিন বৃহৎ আকারে ভূমি ধ্বস হতে পারে। একটুখানি অসচেতনতার কারণে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনকে অনিরাপদ করে রেখে যাচ্ছি।