তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক সমৃদ্ধি হয়েছে অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু তারপরেও রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ এখনো বিপদের মধ্যেই পরে আছে। এবং এই বিপদ থেকে বেরোতে হলে আমরা মনে করি। সাম্প্রতিক কালে বিএনপি জামাত সরাসরি এই বিজয়ের মাসে যারা চিহ্নিত সাজাপ্রাপ্ত রাজাকার, জঙ্গি, যুদ্ধ অপরাধী, জঙ্গি সন্ত্রাসিদের সাজা বাতিল করার দাবি তুলেছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জাসদ সভাপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই বড় অর্জনটা হাজার বছরের ভিতরে সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু দু:খের বিষয় ৫১ বছর পরেও বাংলাদেশের পরাজিত রাজাকার সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী চক্র ও তাদের রাজনৈতিক দোসররা বাংলাদেশকে এখন অস্বীকার করে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে ধ্বংস করে এবং রাজাকার সমর্থিত সরকার গড়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় দীর্ঘদিন ধরে এই রকম কথা আমি শুনিনি। এই প্রথম প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের সাজা বাতিল করার কথা বলেছে। যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের আলেম নামে সাজানোর চেষ্টা করছে। বিএনপির এই বক্তব্যটা দুর্ভাগ্য জনক না, সমগ্র আলেম সমাজকেও অপমান করছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি মনে করি সাম্প্রতিককালে বিএনপি জামায়াত চক্র এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সরাসরি বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক সরকার আনার চক্রান্ত করছে। সংবিধানের কবর রচনা করছে। সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের সাজা বাতিলে বক্তব্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, বিজয়ের মাসে একটাই সিদ্ধান্ত হওয়া উচিৎ, অনেক হয়েছে। অনেক সহ্য করেছি। বাংলাদেশে জামায়াত আর যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক কোনো তোষণ করতে দেওয়া উচিৎ নয়। রাজনীতি করতে দেওয়া উচিৎ নয়। এদেরকে বিতারিত করা উচিৎ। ৭৫ এর পরে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আপোষ চলছে, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বিএনপির সঙ্গে আলাপের কথা বলে তারা কার্যত রাজাকারের সঙ্গে আলাপের কথা বলে। সুতরাং কোন মিটমাটের জায়গা নেই। আগামী নির্বাচনে রাজাকার সমর্থিত বিএনপি জামায়াত চক্রকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। এবং রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিতারিত করতে হবে।