উপজেলার বাড়ৈখালী,হাঁসাড়া,বীরতারা ষোলঘর ভাগ্যকুল ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠের পর মাঠ।সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখর হয়ে উঠেছে মাঠ।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের আরো বেশ কয়েক জন সরিষা চাষিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,সরিষা চাষের ফলে পরিবারের তেলের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি সরিষা বিক্রি করে বোরো আবাদের খরচ যোগান দিতে পারবেন।এবার সরিষার ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।সরিষা চাষাবাদের ফলে আমন ও বোরো ধানের মাঝে উপরি ফসল পেয়ে তাদের লাভ হয়।পাশাপাশি নিজেদের সংসারে তেলের চাহিদাও পূরণ হয়।বাজারে সয়াবিনসহ অন্যান্য ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে গত মৌসুমে সরিষার ব্যাপক চাহিদা ছিলো।এবারও সরিষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।গাছ দেখে বোঝা যাচ্ছে সরিষা ফলন ভালো হবে।সরিষা একটি লাভজনক ঝুঁকিমুক্ত ফসল।সরিষার আবাদ বৃদ্ধিতে সরকার কৃষকদের বীজ,সার ও পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সান্তনা রাণী মন্ডল বলেন,চলতি মৌসুমে ৪শত ৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এই উপজেলায় ১০ হেক্টর বারিয়ে ৪শত ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদে সক্ষম হয়েছি।তবে লক্ষ্যমাত্রার বেশী পরিমান জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে।আগাম জাতের সরিষায় ফুল আসাও শুরু করেছে।তেল জাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১’শ ৫০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে বিনামূল্যে উন্নত জাতের সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন,সরিষা চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষি বিভাগ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আরও অনেক কৃষকের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।