নাজমুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি:বাজারে শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সিমও । সিম ভর্তা, ভাজি থেকে শুরু করে নানাভাবেই খাওয়া যায়। শীতকালীন এই সবজিতে রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধের অসাধারণ গুণ আছে। এছাড়াও যারা চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য সিম বেশ উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে,প্রতি ১০০ গ্রাম সিমে ৮৬.১ গ্রাম জলীয় অংশ আছে। এতে খনিজ উপাদান রয়েছে ০.৯ গ্রাম, আঁশ ১.৮ গ্রাম ও ক্যালোরি বা খাদ্যশক্তি রয়েছে ৪৮ কিলো ক্যালোরি। এছাড়াও সিমে ৩.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৭ গ্রাম শর্করা, ২১০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১.৭ মি.গ্রাম লৌহ পাওয়া যায়।
এই সব উপাদান ছাড়াও শিম জিঙ্ক, ভিটামিন সি ও নানা রকম খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ।
নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সিম নানা ধরনের রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়ার গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ৬ কাঠা জমিতে এবার আগাম সিমের আবাদ করেছেন। গাছে ভাল সিম ধরেছে এবং বাজারে দামও ভাল। প্রায় ১০ কেজির মতো সিম তুলেছেন। প্রতি কেজি শিম ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরকম দাম থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।
একই গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন, ১০ কাঠা জমিতে আগাম সিমের আবাদ করেছেন। প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখনো সিম উঠানো শুরু করতে পারিনি। আগাম সিমের আবাদ করায় পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারে এখন সিমের ভাল দাম আছে। কিন্তু যখন বেশি পরিমাণ শিম উত্তোলন শুরু হবে তখন আবার দাম কমে যাবে।
কৃষক হানিফ বলেন, সিমের গাছের ডগায় পঁচানি দেখা দিয়েছে। এছাড়া পোকায়ে সিম ছিদ্র করে ফেলছে। কৃষি অফিসের কোন লোককে মাঠে না পেয়ে কীটনাশকের দোকান থেকে দোকানির পরামর্শে কীটনাশক কিনে স্প্রে করা হচ্ছে। পোকা দমনে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে কীটনাশক কিনতে লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,গোয়ালন্দ শীতের আগাম সবজি সিমের আবাদ করা হয়েছে। এটি একটি লাভজনক ফসল। তবে আগাম সবজি হিসেবে সিমে বিভিন্ন পোকার আক্রমন হয়ে থাকে। বিশেষ করে মোজাইক ভাইরাসে আক্রমণ করলে পাতা হলদে হয়ে যায়।তবে এবার সিম চাষে কৃষক ভালো লাভবান হচ্ছেন। শীতের সবজি সিম চাষে আগ্রহ বাড়ছেই কৃষকদের
নাজমুল হোসেন রাজবাড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
বাজারে শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সিমও । সিম ভর্তা, ভাজি থেকে শুরু করে নানাভাবেই খাওয়া যায়। শীতকালীন এই সবজিতে রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধের অসাধারণ গুণ আছে। এছাড়াও যারা চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য সিম বেশ উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে,প্রতি ১০০ গ্রাম সিমে ৮৬.১ গ্রাম জলীয় অংশ আছে। এতে খনিজ উপাদান রয়েছে ০.৯ গ্রাম, আঁশ ১.৮ গ্রাম ও ক্যালোরি বা খাদ্যশক্তি রয়েছে ৪৮ কিলো ক্যালোরি। এছাড়াও সিমে ৩.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৭ গ্রাম শর্করা, ২১০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১.৭ মি.গ্রাম লৌহ পাওয়া যায়।
এই সব উপাদান ছাড়াও শিম জিঙ্ক, ভিটামিন সি ও নানা রকম খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ।
নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সিম নানা ধরনের রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়ার গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ৬ কাঠা জমিতে এবার আগাম সিমের আবাদ করেছেন। গাছে ভাল সিম ধরেছে এবং বাজারে দামও ভাল। প্রায় ১০ কেজির মতো সিম তুলেছেন। প্রতি কেজি শিম ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরকম দাম থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।
একই গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন, ১০ কাঠা জমিতে আগাম সিমের আবাদ করেছেন। প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখনো সিম উঠানো শুরু করতে পারিনি। আগাম সিমের আবাদ করায় পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারে এখন সিমের ভাল দাম আছে। কিন্তু যখন বেশি পরিমাণ শিম উত্তোলন শুরু হবে তখন আবার দাম কমে যাবে।
কৃষক হানিফ বলেন, সিমের গাছের ডগায় পঁচানি দেখা দিয়েছে। এছাড়া পোকায়ে সিম ছিদ্র করে ফেলছে। কৃষি অফিসের কোন লোককে মাঠে না পেয়ে কীটনাশকের দোকান থেকে দোকানির পরামর্শে কীটনাশক কিনে স্প্রে করা হচ্ছে। পোকা দমনে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে কীটনাশক কিনতে লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,গোয়ালন্দ শীতের আগাম সবজি সিমের আবাদ করা হয়েছে। এটি একটি লাভজনক ফসল। তবে আগাম সবজি হিসেবে সিমে বিভিন্ন পোকার আক্রমন হয়ে থাকে। বিশেষ করে মোজাইক ভাইরাসে আক্রমণ করলে পাতা হলদে হয়ে যায়।তবে এবার সিম চাষে কৃষক ভালো লাভবান হচ্ছেন।