1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

মো: আতিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট : বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩
মোঃ আতিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ: গত বছরের চেয়ে এবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শীত রেকর্ড ভেঙেছে। প্রতিবছরই শীতের আগমন থেকে শুরু করে শীতের শেষ পর্যন্ত তাড়াশ উপজেলার ঘরে ঘরে চলে পিঠাপুলির উৎসব। পিঠা বাঙালির প্রিয় খাবার। এ দেশে এমন মানুষ কমই আছে, যারা পিঠা পছন্দ করে না। পিঠা নিত্যদিনের খাবার না হলেও শীতকালে তাড়াশে ঘরে ঘরে পিঠার ব্যাপক কদর রয়েছে। উৎসব আয়োজনেই পিঠা নামের বাড়তি খাবার তৈরি করা হয়। বর্তমানে শুধু বাড়িতে নয় বরং তাড়াশ উপজেলার হাট বাজারেও হরেক রকমের পিঠার কদর বেড়েছে। শীতকালের এই পিঠা বিক্রি করে তাড়াশে শতাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে
আগে শীতের শুরুতেই গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে পৌষ পার্বনের রকমারী পিঠার আয়োজন করা হত। দাদী-নানী, মা, খালারা পরম মমতায় তৈরি করতো বিভিন্ন ধরনের রসালো পিঠা।
তবে জনপ্রিয় পিঠার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিতই, পাটিসাপটা, লরি পিঠা, ভাপা, আন্দশা, কুশলী, পাতা পিঠা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, মেরা পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, নকশি পিঠা, পুলি পিঠা, জামাই পিঠা, ঝুরি পিঠা ও বিবিয়ানা পিঠা। এসব পিঠার সঙ্গে মিষ্টি বা ঝাল মিশিয়ে তৈরি করা হয় নতুন পিঠা। যেমন চিতই পিঠার সঙ্গে দুধ-গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় দুধচিতই। চিতই পিঠার সঙ্গে কাঁচামরিচ ও ধনিয়া পাতা দিয়ে ঝাল পিঠাও তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে হেমন্ত ঋতুর শুরু থেকেই পিঠা তৈরি শুরু হয়। তখন দেশজুড়ে ধানকাটা শুরু হয়। কৃষকের ঘরে ঘরে থাকে গোলাভরা ধান। নতুন সে ধানের আতব চালে তৈরি হয় পিঠা। এ সময় গ্রামে সন্ধ্যা হলেই চাল কোটার শব্দে মুখরিত হয় চারদিক। রাতভর চলে পিঠা তৈরির কাজ। অনেকে আবার পিঠা তৈরির সময় গীত গেয়ে রাত পার করে। পিঠার অন্যতম উপাদান চালের গুঁড়ো হলেও এর সঙ্গে লাগে গুড়, ক্ষীরসহ নানা উপকরণ। এ উপকরণের সঙ্গে শীতের একটা যোগসূত্র আছে। তাই হেমন্ত থেকে শীতকাল পর্যন্ত পিঠা তৈরির ধুম পড়ে। বাংলাদেশে কত রকম পিঠা হয় তা বলে শেষ করা কঠিন।
সরেজমিনে তাড়াশের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় বাড়ি বাড়ি চলছে শীতকালীন পিঠার মহোৎসব। পৌর শহরের কাউরাইল গ্রামের মাহমুদা খাতুন ও সারাফুন্নেছাকে তাদের বাড়িতে বিভিন্ন রকম পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়। তারা বলেন, বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের আগমন উপলক্ষে প্রতিবছর এই পিঠার উৎসব হয়, এটা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। তারা আরো বলেন, অতীতে তাড়াশের প্রতি বাড়ি বাড়ি শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হতো। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ  জানান, পিঠা মূলত মুখরোচক খাবার। আগের দিনে বাড়িতে বাড়িতে জামাই-ঝি এনে হরেক রকমের পিঠা উৎসব চলতো। এখন রাস্তার মোড়ে মোড়ে জীবিকার তাগিদে পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। বর্তমানে একান্নবর্তী পরিবার না থাকায় চলনবিলের ঘরে ঘরে সেই ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব অনেকটাই কমে এসেছে। আমি আশা করি চলনবিলের ঘরে ঘরে সেই হারানো পিঠা উৎসব আবার ফিরে আসবে। নতুন প্রজন্ম সেই পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিতি লাভ করবে।
Facebook Comments
২ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি