ইউনিয়ন বেশিরভাগ রাশিয়ান তেল আমদানি নিষিদ্ধ করে দিলেও রাশিয়া সমুদ্রপথে তার অপরিশোধিত তেল রফতানির জন্য ক্রেতা পেতে সক্ষম হয়েছে। সংবাদ সংস্থা বøুমবার্গের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার রফতানি ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জানুয়ারির ১৩ তারিখ পর্যন্ত এর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বøুমবার্গ সোমবার বলেছে যে, এমনকি ইউরোপীয় চালান কমে গেলেও, এশিয়া থেকে জোরালো চাহিদা কারণে ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল রফতানি ৩০ শতাংশ বেড়ে ৩৮ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছে। যেখানে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের চালান ইউরোপে মাত্র ৫ শতাংশ, সেখানে চীন এবং ভারত রাশিয়ার অশোধিত পণ্যের প্রধান ক্রেতা হিসেবে আবিভর্‚ত হয়েছে।
১৩ জানুয়ারিতে শেষ হওয়া সপ্তাহে এশিয়ার দিকে যাওয়া চালানের মোট ২৮লাখ ২ হাজার ব্যারেলের মধ্যে চীনের ৩৫ শতাংশ এবং ভারতের জন্য ২৭ শতাংশ চালান ছিল। বøুমবার্গের তেল কৌশলবিদ জুলিয়ান লির মতে, মোট এশিয়ান চালানের আরো ২০ শতাংশের গন্তব্য অজানা দেখালেও সাধারণত সেগুলি চীন বা ভারতে সমাপ্ত হয়েছে। রাশিয়ার জ্বালানি আয় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এশিয়াতে মস্কোর তেলের রফতানি এর অর্থ ভাÐারকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করেছে। ১৩ জানুয়ারি পর্যস্ত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল রফতানি শুল্ক থেকে রাজস্ব সপ্তাহে ৪ শতাংশ বেড়ে ৬ কোটি ১ লাখ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সূত্র : বিজনেস ইন্সাইডার