ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও ধামইরহাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ৩টার দিকে ধামইরহাট পৌরসভার বাজার এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ধামইরহাট-জয়পুরহাট সড়কের পাশে অবস্থিত উপজেলা জাতীয় পার্টির অফিস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর মূহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের চারটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে রাতেই পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দমকল কর্মীদের একটি দল এসে এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে জাতীয় পার্টির অফিস সহ চারটি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়ে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো, রানা মেডিকেল স্টোর, আহম্মদ টেইলার্স, মেসার্স নূর গার্মেন্টস ও সাইদুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি তুলার দোকান। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের ফলে তাঁদের দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। এতে তাঁদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রানা মেডিকেল স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী আবু সালেহ মুসা বলেন, ‘প্রথমে যাঁরা আগুন লাগতে দেখেছেন তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথমে জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এরপর আমার দোকানসহ অন্য তিনটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে আমার দোকানের প্রায় ১২-১৩ লাখ টাকার ওষুধ সামগ্রী পুড়ে গেছে। আমি এখন সর্বসান্ত।’
মেসার্স নূর গার্মেন্টেসের মালিক নূর ইসলাম জানান, আগুনে তাঁর দোকানের সব কাপড় পুড়ে গেছে। এতে তাঁর প্রায় ৯-১০ লাখ টকার ক্ষতি হয়েছে। আহম্মদ টেইলার্স ও তুলার দোকানের মালিকের দাবি, আগুনে তাঁদের দোকানের প্রায় ৮ লাখ করে মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির অফিসে থাকা চেয়ার-টেবিলসহ বেশ কিছু মূল্যবান আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
নওগাঁর ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ধামইরহাট বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ধারণা করেছে শট সার্কিটের কারণে জাতীয় পার্টির অফিস থেকে অগ্নুৎপাতের সূত্রপাত হয়েছে। কেউ লাগিয়ে দিয়েছে কিনা ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।