স্থানিয় সুত্রে জানায়, পরক্রিয়া প্রেমিক রাশেদ এর সাথে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত স্বামী ওবায়েদ হোসেন হীরা ও তার দু’ ভাই তাদের আটক করে প্রমিক রাশেদ এর মাথার মাঝখানের চুল কেটে দেন এবং স্ত্রীর মাথার চুলও কেটে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বাসী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের ঐ মহল্লার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে ওবায়েদ হোসেন হীরা পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী রাবেয়া বসরী মুক্তাকে প্রায় দিনই মারপিট করতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মুক্তার সাথে ঘোষপাড়া এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দীন আকন্দের ছেলে এনামুল হক রাসেদ এর পরক্রিয়া সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ তুলে গৃহবধূর স্বামী হীরা, সতীন উম্মে হাবিবা, দেবর মানিক ও বাদশা, মধ্যবাজার এলাকার মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সাগর, মৃত আইজুলের ছেলে মামুন হোসেন বুধবার রাত ৩ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত শারিরিক নির্যাতন, মারপিট, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, মাথার চুল কেটে নেয়া সহ জোর পূর্বক সাদা স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নেয়। সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ গিয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রাবেয়া বসরী মুক্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে রাবেয়া বসরী মুক্তা স্বামী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্যানাল কোড ও পর্ণগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করলে শুক্রবার পূর্ব ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী হীরা, দেবর মানিক ও বাদশা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেন এবং শুক্রবার সকালে সতীন উম্মে হাবিবা কে ও গ্রেফতার করেন পুলিশ।
ঘটনা ও মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, স্ত্রী মুক্তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় স্বামী, সতীন ও দুই দেবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ধারণকৃত ভিডিও সহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।