করোনা ও ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে পেতে সব দলই মরিয়া। প্রথমে মনে হচ্ছিল শুধু ফরচুন বরিশালই আগ্রহী। পরে জানা গেল জেমকন খুলনাও মাশরাফিকে দলে পেতে চায়। বরিশাল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভিডিও বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, তারা মাশরাফিকে খেলাতে চান। ওদিকে জেমকন খুলনার ম্যানেজার নাফিস ইকবালও মাশরাফির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আর সর্বশেষে মিনিস্টার রাজশাহীর ম্যানেজার হান্নান সরকার আজ শনিবার প্রকাশ্যেই মাশরাফিকে দলে নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। দলটির কোচ সারোয়ার ইমরান সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, স্পন্সররা মাশরাফিকে দলে পেতে চান।
এই তিন দলের বাইরে বেক্সিমকো ঢাকাও নাকি আগ্রহী। শেরে বাংলার আশপাশের গুঞ্জন, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামছাড়া বাকি ৪ দলই ভেতরে ভেতরে নড়াইল এক্সপ্রেসকে দলে টানার কথা ভাবছে।
বোঝাই যাচ্ছে, মধ্য তিরিশের মাশরাফির প্রতি এখনো সবার আস্থা ও বিশ্বাস প্রচুর। সবারই বিশ্বাস মাশরাফি দলে আসা মানেই ড্রেসিং রুম চাঙ্গা হওয়া। দলের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থা বেড়ে যাওয়া। সর্বোপরি দলের ভেতরের বন্ধনটা আরও দৃঢ় হওয়া।
ধরে নেয়া হচ্ছে খেলাটি যেহেতু মাত্র ২০ ওভারের, ৪ ওভারের স্পেল করতে মাশরাফির খুব বেশি শক্তি ও এনার্জি ক্ষয় হবে না। বরং তার নিখুঁত লাইন ও লেন্থের বোলিংটা হতে পারে বাড়তি পাওয়া। অবশ্য এসব নির্ভর করছে মাশরাফি আসলে শতভাগ ফিট কি না, তার ওপর?
তবে ভেতরের খবর মাশরাফি ফিট হলে আর জাতীয় দলের ট্রেনাররা তাকে ফিট মনে করলে মাশরাফি হয়ত আগামী এক দুই রাউন্ড পরই মাঠে নামতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলো মাশরাফি কোন দলে খেলবেন? তাকে পেতে চায় প্রায় সব দলই। এখন ৩-৪ দল যখন আগ্রহী, তাহলে মাশরাফি কোন নিয়ম ও ক্রাইটেরিয়ায় কোন দলে খেলবেন?
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দিয়েছেন এসব প্রশ্নের জবাব। তিনি জানিয়েছেন, ‘আগে মাশরাফি খেলার মত অবস্থায় আসুক। তার ম্যাচ ফিটনেস ফিরে আসলে সে ঠিকই খেলবে।’
তাকে তিন-চারটি দল পেতে আগ্রহী, তাহলে কোন নিয়মে কোন দলে খেলবে মাশরাফি? প্রধান নির্বাচকের সোজা ব্যাখ্যা, ‘আমরা তো আগেই জানিয়ে রেখেছি, সব দলকেই বলা আছে। যে বা যারাই আগ্রহ প্রকাশ করুক না কেন, একাধিক দল মাশরাফিকে নিতে চাইলে লটারি হবে। উন্মুক্ত ওই লটারিতে যে দলের নাম উঠবে, সেই দলেই খেলবেন মাশরাফি।’