শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: আসামের তৎকালীন নগাঁও জেলার (বর্তমানে মরিগাঁও) নেলি অঞ্চলে ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩ সালে ঘটে গিয়েছিল এক ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ । একবেলার মধ্যে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল তিন হাজারেরও বেশি বাংলাভাষী মুসলমানকে।
বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা অবশ্য ১০ হাজারেরও বেশি।
জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল শয়ে শয়ে ঘরবাড়ি।
সেই সময়ে নেলিই ছিল স্বাধীন ভারতের জঘন্যতম নর সংহারের ঘটনা।
প্রয়াত সাংবাদিক হেমেন্দ্র নারায়ণ সেই নারকীয় হত্যালীলা প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
“একটা শিশুর কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম আমরা। আওয়াজটা খুব স্পষ্ট, কিন্তু বাচ্চাটিকে আমরা দেখতে পাই নি,” তার বইয়ে লিখেছিলেন মি. নারায়ণ।
হয়ত ভয়ার্ত ছোট্ট জোহরা খাতুন বা তার মতই কোন শিশুর কান্নার আওয়াজই সেই ভয়াল সকালে শুনতে পেয়েছিলেন তিনি।
ওই কান্নার আওয়াজ পাওয়ার আগেই আরেকটি বাচ্চা ছেলেকে জবাই হওয়ার হাত থেকে আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যেতে দেখেছিলেন হেমেন্দ্র নারায়ণ।