আহতরা হলেন গৃহকর্ত্রী মরিয়ম আক্তার (৪৫), ভাতিজি ফরিদা (৩০) এবং নাতী দূর্জয় (১৩)। স্বজনেরা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রেখেছে।
অভিযুক্তরা হলো শামছুল হক (৬৫), নুরুল ইসলাম (৫০), ফজলুল হক (৫৫), নাজমুল (২৫), ফরিদ (২৫), আজিজুল (২০) এবং নাঈম (২৪)।
ভুক্তভোগী মৃত মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার জানান, শামসুল হক গং ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে তাদের প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝে নিয়ে ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি আমার স্বামীর ভাগে পাওয়া জমি দিয়ে তারা চলাচলের রাস্তাসহ তাদের আরো সম্পত্তি দাবী করে। এ নিয়ে বিরোধে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শামছুল হক তার সহযোগীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে। আমাকে বাড়ীর উঠানে পেয়ে মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে ভাতিজি ফরিদা ও নাতী দূর্জয় এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্রে আঘাত করে আহত করে। এ সময় অভিযুক্ত আজিজুল ভাতিজি ফরিদার গায়ে হাত দিয়ে টানা হেঁচড়া করে অর্ধবিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা উত্তর ভিটার ঘরে প্রবেশ করে আলমারী ভেঙ্গে প্রবাসী ছেলের পাঠানো ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা লুটে নেয়। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন আগাইয়া আসলে হামলাকারীরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযুক্ত শামসুল হকের মুঠোফোনে (০১৭৫৮-৪৬০৯৬৫) একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অঞ্জনা রায় জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মরিয়ম আক্তারের মাথায়, ফরিদার পায়ে, পিঠে ও উরুতে এবং দূর্জয়ের ডান হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তারা এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন ভূঁইয়া জানান, বাউনী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।