জয়পুরহাটে ১৫০ গ্রাম মাংস কিনতে ৩ কি.মি.পথ হেঁটে যায়
শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট :
শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩
শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ফুলদীঘি বাজারে মুরগির মাংস কিনতে গেছেন রেজাউল করিম। তাঁর বাড়ি ফুলদীঘি বাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পাঁচুইল গ্রামে। দিনমজুর রেজাউলের বাড়ির কাছাকাছি মাংস কেনার একাধিক দোকান আছে। তারপরও এতটা পথ হেঁটে এই ফুলদীঘিতে যাওয়ার কারণ হলো, এই দোকান থেকে তিনি চাইলে কয়েক টুকরা মাংস বা সর্বনিম্ন ১৫০ গ্রাম মাংসও কিনতে পারবেন। এমন দোকান এ তল্লাটে আর নেই।
রেজাউল বলছিলেন, ‘গোটা মুরগি কেনার সামর্থ্য হামার নাই। কুনো বড় দোকানোত গ্যালে দ্যাড় শ গ্রাম মাংস চ্যালে তো বেচপি ন্যা। তাই এটি আচ্ছি।’ রেজাউল আধা কেজি মুরগির মাংস কিনলেন। তবে জানালেন, কোনো কোনো দিন এর চেয়েও কম মাংস কেনেন। এই দোকানের নিয়ম হলো, ন্যূনতম ১৫০ গ্রাম মাংস এখানে বিক্রি হয়।
রেজাউলের মতো অনেক নিম্নবিত্ত মানুষের সাধ মেটাচ্ছে এসব দোকান। শুধু ক্ষেতলালে নয়, দেশের সাত জায়গায় দোকানগুলো তৈরি হয়েছে। এই বিশেষ ধরনের দোকানগুলোর নাম ‘প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র’। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মুরগিসহ সব ধরনের মাংসের দাম নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। তাই এসব দোকানে ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। তবে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এমন দোকানের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি এই কঠিন সময়ে মাছ, গরুর মাংসসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও এমন ব্যবস্থা থাকলে ভালো। (প্রথম আলো)