ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার পাকুড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে। এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মৃত শাপিনের বড় ভাই সেকেন্দার আলী বলেন, রাতে খাবার খেয়ে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ করেই রাত অনুমান ১টার সময় বাড়ীতে আগুন জ্বলতে দেখি। আমাদের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করা চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা আগুন নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারাও ছুটে আসে। এরপরে তারাও আগুন নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে নওগাঁ এবং আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ছুটে এসে তিনটি ইউনিট মিলে প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ততক্ষনে আমাদের ৭ ভাইয়ের ৭টি মাটির দোতলা বাড়ী, বাড়ীর আসবাবপত্র, ধান, চাল, সরিষাসহ সমস্ত মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন শাপিনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কিভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা বলতে পারেননি সেকেন্দার আলী।
রাণীনগর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার জিয়াউল হক বলেন, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে নওগাঁ এবং আদমদীঘি থেকে আরো দুটি ইউনিটের সহযোগিতা নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে এবং শাপিন নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শাপিন অতিরিক্ত ধোঁয়ায় মারা গেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া আগুনে ৭টি বাড়ীর সমস্ত মালামাল এবং তিনটি খরের পালা ভস্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন তিনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগুনে নিহতের ঘটনায় মৃত শাপিনের স্ত্রী মরিয়ম নেছা পপি বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।