প্রিন্স আরিফ খান, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি: মেহেরপুরে গাংনী শহরের উত্তরপাড়ায় অভিযান চালিয়ে দুই সুদ কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২০ টি বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক, ৬৬৯টি ননজুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্প, ১৩টি টালি খাতা ও ৫টি মোটরসাইকেল। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম এ অভিযান চালায়। এসময় আনিছুর রহমান নামের অপর সুদ কারবারী পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- উত্তরপাড়ার হাজী ছমির উদ্দীনের ছেলে হানিফ(৪৫) ও মৃত ইউনুস আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম(৫৫)। রোববার দুপুরে দুজনকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আনিছুর রহমান নামের অপর সুদ কারবারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক রবিবার বেলা ১১টার সময় এক প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিপদে পড়া মানুষ তাদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে সুদের জালে আটকে যায়। টাকা নেওয়ার সময় ব্লাঙ্ক চেক ও সাদা স্ট্যাম্পে সই করে নেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার পর থেকে সুদ ব্যবসায়ীদের জুলুমের শিকার হন অনেকে। চড়া সুদের অর্থ আদায় করতে অনেকের নামে চেক ডিজঅনার মামলা করে ফাঁসিয়েছে গ্রেফতারকৃত সুদ ব্যবসাযীরা। অনেকেই ভিটে মাটি বিক্রি করে এলাকা ছেড়েছেন।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক প্রেস ব্রিফিং করে জানান, জনৈক মনিরুল ইসলাম তার ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জিম্মা রেখে সুদ কারবারী হানিফের কাছ থেকে একলাখ টাকা গ্রহণ করেন। ওই টাকা সুদাসলে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা হয়। হানিফ টাকা পেতে দেরী হওয়ায় মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে দেয়।
এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম গাংনী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ হানিফ আনারুলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় সুদ কারবারে ব্যবহৃত টালিখাতা, স্ট্যাম্প , চেক ও একটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়। টের পেয়ে পালিয়ে যায় অপর সুদ কারবারী আনিছুর রহমান।
তাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানার এসআই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে পেনাল কোড- ৩৪/৪০৬/৪২০/৪২২/৪২৩/৪২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৪/২৩ তাং- ১২-০৩-২৩ ইং। এ মামলায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।