শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট : সি চিন পিং সম্প্রতি রাশিয়া সফর করেছেন। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে চীনের এ নেতা ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক, এমন সহযোগিতার ব্যাপারে কথা বলেছেন। সি চিন পিংয়ের চেয়ে কম ক্ষমতাধর যেকোনো নেতার জন্যই খবরটি অস্বস্তির। সি চিন পিং বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বের পতন অনিবার্য। তিনি চান, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে লেনদেনের ভারসাম্য গড়ে উঠুক, অর্থাৎ এমন চুক্তি হোক, যা সব পক্ষের জন্যই লাভজনক।
ইউক্রেন ইস্যুতে চীন এক খেলায় মেতেছে। তাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। তা হলো চীনের প্রতি রাশিয়ার আনুগত্য নিশ্চিত করতে চান সি। তবে পুতিনের শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মতো অতটা দুর্বল অবস্থায়ও রাশিয়াকে দেখতে চান না তিনি। পাশাপাশি বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখাতে চায় বেইজিং। এ ছাড়া তাইওয়ান প্রশ্নে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ন্যায্যতাকে খর্ব করতে চায় চীন। আর সামরিক ব্যবস্থাকে পররাষ্ট্রনীতির একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় দেশটি।
সি চিন পিং ইউক্রেনের জন্য এমন একটি শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছেন, যাতে শেষমেশ রাশিয়ারই লাভ হবে। সি ভালো করেই জানেন, ইউক্রেন প্রস্তাবটি মেনে নেবে না। এ প্রস্তাবের আওতায় সব দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে। তবে রাশিয়া যে দেশটির (ইউক্রেনের) ছয় ভাগের এক ভাগ জায়গা দখল করে রেখেছে, তা নিয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি