মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিবন্ধি এক তরুনীকে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যে নাটকের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুরাদিয়া বশিরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম।
শনিবার সকালে প্রেসক্লাব দুমকির হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, তাদের একই বাড়ির বাসিন্দা জাফর’ মীরার স্বামী পরিত্যক্তা প্রতিবন্ধি মেয়ে আফসানা বেগম এলাকায় খারাপ স্বভাবের মেয়ে হিসেবে পরিচিত। আফসানাদের সাথে বাৎসরিক জমি লগ্নি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব বিরোধ আছে। এবিরোধের জেরে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় ও সন্মান হানি করতে শক্রপক্ষ আফসানাকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে রটনা ও অপপ্রচার করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গত বুধবার বিকেলে আফসানা আমার কাছে জমি লাগানো টাকা চাইলে আমি বেতন পেয়ে টাকা দিবে বলি। তর সইতে না পেরে একপর্যায়ে আমাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন আফসানা। যেখানে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যসহ একাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে নিজের ঘরের মধ্যে গিয়ে আফসানা নিজের শরীরে যখম করে থানায় গিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে এই মর্মে সাধারণ ডায়েরি করেন। হঠাৎ একদিনের মাথায় আমি তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করি বলে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার চালান আফসানা।
এদিকে আফসানা আক্তার বলেন, আমাকে তিনি টাকা দেয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন যা সম্পুর্ন সত্যি আমি থানায় যা বলেছি তারা তা না লিখে উল্টো লিখেছেন।
ইউপি সদস্য মো: ফোরকান বলেন, তাদের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে লেনদেন রয়েছে এটা সঠিক তবে অফসানা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল বাশার বলেন, আফসানা থানায় মারপিটের অভিযোগ করেছেন তবে সেখানে কোন কথা উল্লেখ নেই। তাছাড়া আমিনুল ইসলামও সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।