খাদেমুল ইসলাম,পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করার কারনে মো; মোজাম্মেল হক নামে এক প্রতারকে আটক- করেছে পুৃলিশ। বৃহস্পতিবার ৬ এ প্রিল এ নাটকের মুল হোতা কে আটক করা হয়।
জানা যায়, মামলায় নিজের পক্ষে বিশেষ সুবিধা পেতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়া হয়। স্বাক্ষর জালসহ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় প্রতারক চক্রকে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ এই নাটকের মূল হোতা মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছপুকুরী এলাকায়। আটকের পর পুলিশের কাছে প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এই ব্যক্তি। এই ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চাঞ্চল্যকর এই প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরেন পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা। এ সময় তিনি তাদের তৈরিকৃত জাল স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজপত্র গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, পুরো বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। খুব গভীরভাবে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। হাতের লেখা ও কিছু বিষয় দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তদন্তের মাধ্যমে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে তাদের প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারি। তার সাথে যারা কাজ করেছে পুরো প্রতারক চক্রকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোজাম্মেল হক জানান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি এসএম বাদশা ও ওই সংগঠনের পঞ্চগড়ের সভাপতি আসাদসহ কয়েকজন মিলে নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে মন্ত্রী ও মূখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আমার স্বাক্ষরটিও তারা করে দিয়েছে। সব কাজ শেষ করে তারা আমাকে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে পঞ্চগড়ের হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছপুকুরী এলাকার মোজাম্মেল হকের পরিবার ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। আগুনে পুড়ে যায় মোজাম্মেলদের ঘরবাড়ি। উভয়পক্ষে মামলা পাল্টা মামলা করে। ওই মামলায় পুলিশের অসহযোগিতা, আসামী না ধরা, মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ তৈরি করে আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়ার জন্য ১ লাখ টাকায় প্রতারক ভাড়া করে মোজাম্মেল হক। অবশেষে পুলিশের ফাঁদে পড়েই তাকে যেতে হলো।