মোঃ উস্তার আলী,সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:সুরমা নদীর ভয়াল থাবায় নদী ভাঙ্গনে সুনামগঞ্জের রাজার গাঁয়ের অস্থিত্ব বিলীন হচ্ছে। থামছে না নদী ভাঙ্গন। অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী পাড়ের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে গ্রামটির চিত্র। পাশাপাশি ভাঙ্গছে অচিন্তপুর গ্রামের বসতবাড়ি। দরিদ্র লোকজন বসতবাড়ি হারিয়ে হায়হুতাশ করে দিনাতিপাত করছেন। কেউ শুনছে না তাদের আর্তনাদ। কেউ অনুভব করছেন না তাদের বুকচাপা ব্যাথার জ¦ালা যন্ত্র্র্রণা। বছরের পর বছর নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় কত ঘরবাড়ি যে নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে কেউ রাখেননি তাদের সেই খবর। নদীর বুকে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো এখন ভাসমান হয়ে নানা দিকে দৌড় ছুট দিচ্ছেন। নদীর এই খেলার সাথে হারিয়ে গেছে অনেকের জীবনের খেলা। নদীর পাড়ে দাড়িয়ে নি:স্ব হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো এখন আর কিছুই চোখে দেখছে না। একবুক জ¦ালা নিয়ে অন্যত্র সরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ তারা চোখে দেখছেন না।
বসতবাড়ি নিয়ে ভাঙ্গন হুমকিতে থাকা বসতি কফিল উদ্দিন বলেন, আমাদের এমপি সাহেবের প্রাণান্ত চেষ্টায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে কিছু বালু ভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ইহা চাহিদার চেয়ে অনেক কম। আবারো নদী ভাঙ্গন আমাদের পরিবারগুলোকে হুমকি দিচ্ছে। যেকোন মূর্হুতে নদী ভাঙ্গনে আমাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ আশঙ্কায় আমরা জানমাল নিয়ে ভয়ভীতিতে জীবন জীবিকা নির্র্বাহ করছি।
নদী ভাঙ্গনের শিকার বসতি মিনারুল বলেন, নদী ভাঙ্গনে আমাদের গ্রামটির চিত্র এখন পাল্টে গেছে। কিন্তু ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী কোন উপায় আমরা দেখছি না। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ভাঙ্গন প্রতিরোধে আন্তরিক হওয়ায় কিছুটা রক্ষা হয়েছিল কিন্তু তা চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল। পানি প্রবাহের মুখে ইহা পর্যাপ্ত নহে। আমাদের অনুরোধ, এমপি মহোদয় আবারো রাজারগাঁও এবং অচিন্তপুরের ভাঙ্গন প্রতিরোধে এগিয়ে আসবেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বরাদ্ধ দেয়ার জন্য বলা আছে, আশা করি শীগ্রই নদী ভাংগনের সমাধান সম্ভব হবে।