পঞ্চগড় প্রতিনিধি:পৃথক দুটি অস্ত্র মামলায় দুজনকে ১৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ হোসেন হায়দার এ আদেশ দেন।
বিচারক একটি অস্ত্র মামলার প্রধান আসামিকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অন্য চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। অপর অস্ত্র মামলার একমাত্র আসামিকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন – পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কানকাটা এলাকার রনজু মিয়া (৪১) এবং একই ইউনিয়নের শারিয়ালজোত এলাকার নেকবর খান (৪৬)। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন – তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের হাকিমপুর এলাকার দুলাল উদ্দীন (৪০), হাফিজ উদ্দীন (৪০), শেকু (৩৫) এবং শহীদুল ইসলাম (৪৬)।
মামলার এজহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের নারায়ণজোত বিওপির কয়েকজন বিজিবি সদস্য সীমান্তে টহল শেষে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। সেসময় ওই ক্যাম্পের সামনে দিয়ে সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ৭৩৪-এর ৪ নম্বর সাবপিলার থেকে ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাঁচা সড়ক ধরে দুইটি মোটরসাইকেলে পাঁচ ব্যক্তি আসছিলেন। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের গতিরোধ করলে রনজু মিয়া নামে একজনকে আটক করা হলেও চারজন মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান। রনজুর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ থেকে একটি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, একটি লোহার চার্জার ক্লিপ ও লোহার হাতলবিশিষ্ট একটি তরবারি উদ্ধার করা হয়। পরে ১ অক্টোবর রঞ্জুকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন নারায়ণজোত বিওপির নায়েক গাজিউর রহমান।
অপর মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া কোম্পানির বিজিবি সদস্যরা জানতে পারেন, তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের শারিয়ালজোত এলাকায় নেকবর খান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অস্ত্র আছে। পরে তার বাড়িতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গোয়ালঘর থেকে একটি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেন। ২৬ আগস্ট তাকে আসামি করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন তেঁতুলিয়া কোম্পানির নায়েব সুবেদার দিদার আহম্মেদ।
পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমিনুর রহমান দুটি অস্ত্র মামলায় দুই আসামির সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আর কোনো ব্যক্তি যাতে অবৈধভাবে অস্ত্র পরিবহন ও সংরক্ষণ না করতে পারে, সেজন্য আদালতের এই রায় সমাজের জন্যে দৃষ্ঠান্ত হয়ে থাকবে।