দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে প্রথমেই দেশের উপকূলের খুলনা–সাতক্ষীরা ও বরিশাল বিভাগের কথা উঠে আসে। কারণ, গত দেড় দশকে সব কটি ঘূর্ণিঝড় প্রথমে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বরিশাল উপকূলে আঘাত হেনেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এবার পুরোনো পথ বাদ দিয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আর ওই এলাকা শুধু ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতির কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনটা নয়। অতিবৃষ্টিতেও সেখানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে (রোববার) কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। উপকূলে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে তীব্র বাতাসের পাশাপাশি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে চার মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় পুরোটা জলোচ্ছ্বাসের সময় ডুবে যেতে পারে। এর চারপাশে বাঁধ না থাকায় এবং সেখানে প্রচুর অবকাঠামো থাকায় ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।