ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া একটি মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন এ আদেশ দেন।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ভাই এবং জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।
এক কিশোরী বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও মামলায় আসামি করা হয়।
এজাহারে ওই কিশোরী (১৭) উল্লেখ করেছে, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়া শহরের আদালতপাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে ওই কিশোরীকে ডেকে নেন। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখা হয়। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য গোলাম কিবরিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখান। আপত্তিকর ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় তাকে। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ রাত আটটার দিকে গোলাম কিবরিয়া ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে যান। সেখানে গোলাম কিবরিয়া তাকে আবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাব ওই কিশোরীকে মারধর করেন। পরে দিবাগত রাত তিনটার ওই কিশোরীকে বাড়িতে রেখে আসা হয়।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, কিশোরীর ধর্ষণ মামলায় গোলাম কিবরিয়া ও তাঁর স্ত্রী নিগার আফতাব গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান। পরে রাষ্ট্রপক্ষ গত ৩০ এপ্রিল জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। আজ আদালতে হাজির হয়ে গোলাম কিবরিয়া জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোলাম কিবরিয়া নিম্ন আদালতে হাজির হলেও তাঁর স্ত্রী নিগার আফতাব আদালতে হাজির হননি।