দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: চলছে জ্যৈষ্ঠের তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে লাগামছাড়া লোডশেডিং। দুইয়ে মিলে বেহাল দশা মানুষের। এই অবস্থা থেকে সহসা মুক্তির আশাও দেখা যাচ্ছে না।ঢাকায় এখন লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে। কোথাও কোথাও ৮ ঘণ্টা লোডশেডিংও হচ্ছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ১৩ হাজারের কাছাকাছি। ফলে ঘাটতি থাকছে তিন হাজার মেগাওয়াটের। মধ্যরাতে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও সেই তুলনায় উৎপাদন হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা এখন নির্ভর করছেন বৃষ্টির ওপর। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে, এতে চাহিদার পরিমাণ কমে যাবে। একইসাথে কমবে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও।যদিও এখনো কোনো সুখবর দিচ্ছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সহসা তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, অস্বস্তিকর এই গরম আরও পাঁচ-ছয়দিন থাকবে