দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট :সম্প্রতি পাকিস্তান রাশিয়া থেকে ছাড়ে কেনা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রথম চালানের মূল্য চীনা মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধ করেছে। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী মোসাদ্দেক মালিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এটি পাকিস্তান সরকারের জন্য বেশ বড় একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত কারণ এর আগে দেশটি তেল কেনার জন্য মার্কিন ডলার ব্যবহার করতো।
রাশিয়া থেকে হ্রাসকৃত মূল্যে জ্বালানি ক্রয় পাকিস্তানের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে।
পাকিস্তান এখন তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে, দেশটি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে ঘাটতির কারণে আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া এখন তার তেলের গন্তব্য ইউরোপ-আমেরিকা থেকে সরিয়ে অন্য দিকে নেবার চেষ্টা করছে।
গত কিছুদিন ধরে চীন ও ভারতই দেশটির তেলের প্রধান ক্রেতা, এবার তার সঙ্গে পাকিস্তানও যুক্ত হলো।
ইসলামাবাদ পশ্চিমাদের দীর্ঘদিনের মিত্র। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিবেশী ভারত আবার ঐতিহাসিকভাবেই মস্কোর মিত্র। তার মধ্যেও অপরিশোধিত তেলের এই চুক্তি তুমুল অর্থনৈতিক সংকটে পড়া পাকিস্তানের জন্য একটি নতুন পথ খুলে দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞ অতুল ভারতদ্বোয়াজ বলছেন “ডি-ডলারাইজেশন যে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে রাশিয়া ও চীন এটা সফলও হতে পারে। চীনের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং এই মুদ্রা ব্যবহৃতও হবে।”
তার মতে, “রাশিয়া ভারতের সঙ্গে যেরকম সম্পর্ক ভালো রাখতে চায় তেমনি পাকিস্তানের সঙ্গেও সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছে। এসব দেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া একটা শক্ত অবস্থানেই থাকবে।”
ইসলামাবাদ চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়া, আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে পণ্য বিনিময় বাণিজ্য পদ্ধতি শুরুর একটি অবকাঠামো দাঁড় করিয়েছে। একেও ডলারবিহীন পণ্য কেনাবেচার আরেকটি পথ খোলার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এসব পদ্ধতির মাধ্যমে পাকিস্তান পশ্চিম থেকে পূর্বে নির্ভরশীল হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা