দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : একদিকে রেকর্ড গড়ে ফেলা মুদ্রাস্ফীতি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফ-এর ঋণ পাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া। কার্যতই নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় পাকিস্তানের অর্থনীতির। এই পরিস্থিতিতে বেইজিংয়ের বিপুল অর্থসাহায্য যে আপাতত শাহবাজ শরিফকে স্বস্তি দেবে তা বলাই বাহুল্য। বিদেশি মুদ্রার প্রায় নিঃশেষিত ভাণ্ডারে নতুন করে অক্সিজেন দেবে।শুক্রবার পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের তরফে এই খবরটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। গত এক বছরে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৭.৯৭ শতাংশ। তারা পিছনে ফেলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকেও। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে দিল শাহবাজ প্রশাসন। কিন্তু শাহবাজ শরিফের আবেদন অগ্রাহ্য করে ঋণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে আইএমএফ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমতাবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষে ফের নতুন করে আবেদন করা ছাড়া আর কোনও পথই খোলা নেই।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু এর জন্য অনেক শর্ত চাপিয়েছিল আইএমএফ। যা কম করার আবেদন করেছিল পাক প্রশাসন। কিন্তু তা খারিজ করে ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে আইএমএফ। স্বাভাবিক ভাবেই বড়সড় বিপদে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে চীনের সাহায্য তাদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।