দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন। বড় জমায়েতের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে সরকারি দলও। মাঠ দখলের এই লড়াইয়ে শামিল হয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনও। তবে তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে আগামীকাল না করে অন্যদিন সমাবেশ করার। কাল বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোরও মাঠে থাকার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, জামায়াত পহেলা আগস্ট ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে।এই যখন অবস্থা তখন কৌতূহল বাড়ছে কাল ঢাকায় কী ঘটতে চলেছে। ঢাকার মহানগর পুলিশ কমিশনার এরইমধ্যে এটা স্পষ্ট করেছেন, সব দল কাল অনুমতি পাচ্ছে না। কিছু দল অনুমতি পাবে। ভবিষ্যতে অফিস খোলার দিনে জনগণকে কষ্ট দিয়ে সমাবেশ না করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। কাল বিএনপি কোথায় সমাবেশ করবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। অন্যদিকে, সরকারি দলের সমাবেশটি হবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। স্বল্প দূরত্বে বড় সমাবেশে সংঘাতের আশঙ্কাও বিশ্লেষকরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে এ সমাবেশ থেকে বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি দেয় তা নিয়ে। সবচেয়ে জোরদার আলোচনা হচ্ছে সমাবেশ থেকে দাবি মানতে সরকারকে একটি সময় বেঁধে দেয়া হবে। এটি ৪৮ ঘণ্টা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারপর ঢাকা কেন্দ্রিক লাগাতার কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আসতে পারে। অন্যদিকে, সরকারি দল সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখছে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজধানী বা রাজধানী প্রবেশমুখে কোথাও বসে পড়েন কি-না সেদিকে।অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এটাও ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে বিএনপিকে আর নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন নাও করতে দেয়া হতে পারে। তবে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলো কী ধরনের কর্মসূচি নিয়ে এগোয় সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে সবার।