শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশি সক্রিয়। সরকারি দল, বিরোধী দল ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। প্রতিটি বৈঠকে বার্তা দিচ্ছেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভিসা নীতি ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য একটি নেতিবাচক বিষয়।এই ঘোষণার পরও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার কাজটি করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতের এসব বৈঠকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে বিদ্যমান আইনগুলো পর্যালোচনা করছেন। বোঝার চেষ্টা করছেন আইনের ফাঁকফোকর। নির্বাচনের আচরণবিধি, নির্বাচন নিয়ে আদালতের রায়, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আসার ক্ষেত্রে আচরণবিধিসহ কী কী ক্ষেত্রে প্রার্থী বা পর্যবেক্ষকরা অযোগ্য হতে পারেন তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নখদর্পণে রাখার চেষ্টা করছেন পিটার হাস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবার আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে আইন ও সংবিধান দিয়ে কোনো যুক্তিতে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিরোধিতা না করা যায়, সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের যতগুলো নিয়ামক আছে তা চিহ্নিত ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ভিসা নীতি ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র এতটাই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কেউ এর বিরোধিতা করতে পারেনি। ঠিক এ রকম কিছু প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দৌড়ঝাঁপ করছেন পিটার হাস।