বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টুকে আদালত প্যারোলে মুক্তি দিলেও সরকার তাকে মায়ের জানাযায় উপস্থিত হতে না দেয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে টাঙ্গাইলের উপজেলা বিএনপি। সোমবার সন্ধ্যায় গোপালপুর উপজেলা বিএনপি পৌরশহরের কাজীবাড়ী মহল্লার মেহগিনি বাগানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। গোপালপুর উপজেলা বিএনপি এবং পৌর বিএনপি এর আয়োজক ছিলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক কাজী লিয়াকত, যুগ্ম সম্পাদক আবু ঈসা মুনিম, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম লেলিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব খন্দকার হেলাল উদ্দীন প্রমুখ। লিখিত অভিযোগে জানানো হয়, গত শনিবার রাতে সালাম পিন্টুর মা মোছা. সালমা বেগম(৯৫) ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেন। গত রবিবার বিকালে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের গুলিপেচা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত রোববার সকালে পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মায়ের জানাযায় অংশগ্রহনের সুবিধার্থে গাজীপুর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুস সালাম পিন্টুকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার কথা জানান। আব্দুস সালাম পিন্টু মায়ের জানাযায় উপস্থিত থাকবেন খবরে টাঙ্গাইল ছাড়াও আশপাশের কয়েক জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা গুলিপেচা মাঠে হাজির হন। জোহরের নামাজের পর জানাযা নামাজের কথা থাকলেও অনেক অপেক্ষার পর বিকেল ৫টায় সালাম পিন্টুর অনুপস্থিতিতেই জানাযা নামাজ হয়। সালাম পিন্টুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বক্তারা আরো অভিযোগ করেন সরকার এক্ষেত্রে হৃদয়হীন নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে।