শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট :রেমিট্যান্সের নিম্নমুখী প্রবাহ এ পতনকে আরও বেগবান করেছে। এতে চলতি মাসে ২৬ দিনেই রিজার্ভ কমেছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। রিজার্ভের পতন শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুত্র মতে, বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ে রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে। এই ৪ খাতেই আয়ের ধারা নিম্নমুখী। দেশে গত বছরের এপ্রিল থেকে ডলারের সংকট শুরু হয়। ফলে ডলারের দাম ৮৮ টাকা থেকে বেড়ে ১১০.৫০ টাকা হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম প্রায় ৭ থেকে ৮ টাকা বেশি। ফলে রেমিট্যান্সের বড় অংশ চলে যাচ্ছে হুন্ডিতে। মানি চেঞ্জার্স ও কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করলে ওখানে ডলার লেনদেনে স্থবিরতা নেমে আসে। এখন কিছু লেনদেন হলেও দাম ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা। এতে ডলারের প্রবাহ তো বাড়েইনি। বরং কমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ডলারের দাম বাড়তে না দিয়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকাকে শক্তিশালী করে রাখা হয়েছে, তাতে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এই নীতি কোনোভাবেই কার্যকর হচ্ছে না। শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি মানতে চাইছেন না, ফলে রিজার্ভেরও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।