মো. রুবেল আহমেদ, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)
বৈশাখের প্রারম্ভে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সেই চিরচেনা দৃশ্যের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চৈত্রের রাতেও দেখা গেছে কুয়াশার প্রভাব। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না পড়ায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরো ধানের উৎপাদন এবং আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলমূল গাছ থেকে অকালেই ঝড়ে পড়ছে। তীব্র তাপদাহের প্রভাব জনজীবনেও পড়তে শুরু করেছে।
সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। ব্রি-২৮ জাতের ধান পাকতে শুরু করায় শিলা বৃষ্টির ভয়ে, তীব্র তাপদাহে হিট ষ্টোকের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ধান কাটতে মাঠে নামছে কৃষকরা। ৪০ ডিগ্রীর উপরে উঠছে তাপমাত্রা, আবহাওয়া অফিস সারাদেশে ৭২ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে।
বৃষ্টির আশায় পাড়া-মহল্লায় যুবকেরা দল বেঁধে কাঁদায় গড়িয়ে গাইছে বিলুপ্তিপ্রায় গান ‘আল্লাহ মেঘ দে, ছায়া দে, পানি দেরে তুই’।
ভ্যানচালক হাবেল মিয়া বলেন, বাপের জন্মেও এবা(এমন) গরম দেহি নাই, চৈত(চৈত্র) মাসে কুয়াশা থাকে, বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি নাই। গরমে ঠিকমতো কাজকাম করবার পারতাছি না।
গোপালপুরের সমাজকর্মী নূর আলম বলেন, আমরা সব গাছ কেটে ফেলছি, তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে আমাদের বৃক্ষরোপণের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দপ্তর মূলত আগুন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করে, এই বৈরী আবহাওয়ায় হিটষ্টোক থেকে বাঁচতে সবাইকে বেশি ঠাণ্ডা পানি পান করা ও ঘরে থাকার পরামর্শ দেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সারোয়ার খাঁন সোহেল বলেন, তীব্র গরমের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, প্রপার হিট ষ্টোকের রোগী এখনো পাইনি।