আব্দুল্লাহ পাঠান, শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি:- গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার কাওরাইদ ইউনিয়ন, নান্দিয়া সাঙ্গঁন ও বাপতা গ্রামে এই ঘটনাটি হয় । মেয়েটির নাম – মাহমুদা সুলতানা (ময়না) বাবা – মাসুদ মিয়া, মূল ঘটনাটি তার স্বামীর কাছ থেকে জানা যায়, তার স্বামী বলেন, আমি একজন ফ্রিল্যান্সার । ২০২৩ইং সালে আমার নিকট হয়তে ফ্রিল্যান্সার এর কাজ শিখার জন্য আমাকে তাহার বাড়ীতে যাইতে বলে । আমি সরল বিশ্বাসে ময়নাদের বাড়ীতে গিয়া ফ্রিল্যান্সার এর কাজ শিখাইতে শুরু করি । এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী আছে জানা সত্ত্বেও (ময়না) আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় । আমি ময়নার প্রস্তাবে রাজি না হইলে (ময়না) আমাকে ব্ল্যাকমেলই করিয়া বিবাহ করে । আমাদের দাম্পত্য জীবন এক সন্তানের জন্ম হয় । যার বয়স ২৭ দিন । বিবাহের পর ময়না কৌশলে আমার নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়া যাই । টাকা নেওয়ার কিছুদিন পর হইতে (ময়না) আমার শাসন ভারন মানে না ও যেখানে সেখানে চলিয়া যাই এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথাবার্তা বলে । আমি কিছু বলিলে (ময়না) আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে । গত ২৩/১০/২০২৪ তারিখ বিকাল আনুমান ৫ টার সময় আমি আমার ৪ দিনের সন্তানকে দেখার জন্য তাদের বাড়ীতে গেলে (ময়না) আমার সংসার করিবে না এবং আমাকে তালাক দিয়া অন্যত্র বিবাহ করিবে বলিয়া জানায় । এ সময় আমি (ময়নার) নিকট আমার পাওনাকৃত টাকা ফেরত চাইলে (ময়না) ও তাহার মাতা ও নানী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । আমার সন্তানের সাথে পরবর্তীতে দেখা করিলে আমাকে খুন জখম করিবে এবং আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করিবে বলিয়া হুমকি দেয় । তার এক সপ্তাহ পর, এলাকার গণ্যমান্য মানুষ একসাথে বসে মিল করিয়ে দেয় । তারপর আমার স্ত্রী (ময়না) এবং আমার সন্তানকে আমি আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি, আমাদের বাড়িতে ১৭ দিন থাকার পর ১৮/১১/২০২৪ ইং তারিখে আমার ২৭ দিনের অসুস্থ ছেলেকে রেখে সকাল ৪টার সময় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । সে আমাকে সব সময় টাকা পয়সাও গয়না দাবি করত । এবং আমার বড় বউকে তালাক দেওয়ার জন্য বলতো । আমার বড় বউ এর সাথে ৮ বছরের সংসার, বড় বউ এর কোন ছেলে মেয়ে নাই । এবং তাকে বিয়ে করার ২ মাস পর বরমি বাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি, এবং বাসা ভাড়া নেওয়ার পর আমার বড় বউ এবং আমার মা বাবার কাজে যেতে দিত না, যদি আমি আমার মা-বাবার কাছে বা আমার বড় বউ এর কাছে যেতাম তাহলে সে ঝগড়া করত আমার সাথে । সে সবসময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো । আমি বিয়ে করার আগেও তার অন্য জায়গায় বিবাহ হয়, সে সেখানে ৬ মাস সংসার করে সে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসে তার কাছ থেকে জানতে পারি এবং এলাকার মানুষদের কাছ থেকে জানতে পারি । সে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে ভিডিও কলে নোংরামি করত, বিয়ের পর বিভিন্ন ছেলে আমাকে তার নোংরামির ভিডিও পাঠাতো । আমার কাছে প্রমান সহকারে সব কিছু আছে বলে জানান ।