জাতীয় দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক: চালের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। প্রতি কেজি চালের উৎপাদন খরচ ২০১২ সালে ছিল ১০ টাকা ৫১ পয়সা। সেটি বেড়ে ২০১৫ সালে হয়েছে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা এবং ২০১৮ সালে ১২ টাকা ৮৮ পয়সা। পরবর্তী কয়েক বছরে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
অন্যদিকে এক কেজি চাল বিক্রি করে আয় হতো ২০১২ সালে ১৬ টাকা ১৭ পয়সা, ২০১৫ সালে ১৬ টাকা ৫২ পয়সা এবং ২০১৮ সালে ১৭ টাকা ৪৮ পয়সা। এক্ষেত্রে গড় লাভ আসে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। মোট উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রি করা অর্থের লাভজনকতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে। কৃষকরা তাদের বিনিয়োগে কম রিটার্ন পাচ্ছেন। কারণ তাদের উৎপাদিত পণ্যের দামের তুলনায় খরচ দ্রুত বাড়ছে। এ প্রবণতা ধানচাষিদের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) চার দিনব্যাপী চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত এক অধিবেশনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে ‘এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড টেকনিক্যাল এফিশিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের রিসার্স ফেলো তাজনোয়ারা সামিনা খাতুন। বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কাজী সালাউদ্দিন এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে জমির উর্বরতা দিন দিন কমছে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জমির উর্বরতা ছিল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উর্বরতাশক্তি কিছুটা বেড়ে হয়েছিল ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উর্বরতাশক্তি ব্যাপকভাবে কমে ঋণাত্মক (-০.৪৪ শতাংশ) হয়ে পড়েছে। ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে উর্বরতাশক্তি আরো বেশি ঋণাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশে।