জাতীয় দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক: দেশে এখনো নিশ্চিত হয়নি মানসম্মত সেবা। ১৯৯৭ সাল থেকে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ে সরকারের ভাগ ক্রমান্বয়ে ছোট হচ্ছে। এতে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীরা। ২০১২ সালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কৌশলপত্র তৈরির সময় ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪ শতাংশ।
২০৩০ সালের মধ্যে যা ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে এটি না কমে বরং বেড়েছে। অথচ সব মানুষের জন্য বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার মূলনীতি’। কিন্তু এ ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনে দৃশ্যত অগ্রগতি নেই।
২০১৫ সালে ব্যক্তির চিকিৎসাব্যয় ৬৪ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ হয়। ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তির স্বাস্থ্য খাতের মোট ব্যয় বর্তমানে ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হচ্ছে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস, ২০২৪। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হয়েছে—‘স্বাস্থ্য :এটি পরিবারের নাকি সরকারের দায়িত্ব’। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে চিকিত্সাব্যয়ে সরকারের অংশ ছিল যথাক্রমে মোট ব্যয়ের ২৮, ২৬ ও ২৩ শতাংশ।
আর ঐ বছরগুলোতে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪, ৬৬ ও ৬৯ শতাংশ। এ ব্যয় করতে গিয়ে বছরে ৮৬ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। চিকিৎসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে ওষুধ কিনতে। এতে ব্যয় ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ।