জাতীয় দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাজনৈতিক দর্শন এবং ধর্ম দর্শনে বিবেচনা করা হয় । একটি দর্শন হিসাবে, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রকৃতিবাদ এবং বস্তুবাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, বস্তুগত মহাবিশ্বের পক্ষে আত্মার মতো অজৈব বা অতিপ্রাকৃত পদার্থের বিবেচনাকে প্রত্যাখ্যান করে।^] এই ধর্মনিরপেক্ষ বস্তুবাদ এবং যুক্তিবাদ সবচেয়ে আধুনিক অভিজ্ঞতামূলক বিজ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করে। জ্ঞানার্জনের যুগে, বারুচ স্পিনোজা , জন লক , মন্টেসকুইউ , ভলতেয়ার , ডেভিড হিউম , অ্যাডাম স্মিথ , এবং জিন-জ্যাক রুসোর মতো উদারপন্থী ইউরোপীয় দার্শনিকরা সকলেই গির্জা ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদের বিভিন্ন রূপের প্রস্তাব করেছিলেন^] সুপরিচিত নৈতিক দার্শনিকদের কাজ যেমন ডেরেক পারফিট এবং পিটার সিঙ্গার , এমনকি সমসাময়িক জৈবনীতির পুরো ক্ষেত্রকে স্পষ্টভাবে ধর্মনিরপেক্ষ বা অ-ধর্মীয় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। 

ধর্মনিরপেক্ষ দর্শন দ্বারা বিবেচিত একটি প্রধান বিষয় হল বস্তুগত মহাবিশ্বে নৈতিকতার প্রকৃতি।ধর্মনিরপেক্ষ নীতিশাস্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ নৈতিকতা সঠিক এবং ভুলের ব্যবস্থাকে বর্ণনা করে যা ধর্মীয় বা অতিপ্রাকৃত ধারণার উপর নির্ভর করে না। ফ্রেডরিখ নিটশের দর্শনের বেশিরভাগই এই সমস্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বিকশিত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ নীতিশাস্ত্রের অধীনে, ভালোকে সাধারণত এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা ভালোর একটি বিমূর্ত বা আদর্শিক ধারণার পরিবর্তে “মানুষের উন্নতি ও ন্যায়বিচারে” অবদান রাখে। ধর্মনিরপেক্ষ নীতিশাস্ত্র প্রায়ই মানবতাবাদের ফ্রেমের মধ্যে বিবেচনা করা হয়।