কাজী ইয়াসিন আরাফাত,বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা: সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের নৈশ প্রহরী মোঃ সিরাজুল ইসলামকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বয়স গোপন করে অবৈধভাবে চাকুরি করার তথ্য প্রমান পাওয়ায় তার বিরূদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মিথ্যা জন্ম তারিখ ও ৮ম শ্রেণী পাশের মিথ্যা সনদ জমা দিয়ে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ প্রমানিত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তাকে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়।
বন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট সিরাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন গৌতম কুমার শীল, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মোহাম্মদ শামীম খান।
অভিযোগ দাখিলের পর থেকে প্রায় ১ বছর ৭ মাস পর সিরাজুলের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে। তদন্তে উঠে আসে মোঃ সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাগেরহাটে মিটার রিডার পদে এস,এস,সি, সনদ ব্যবহার করে চাকরী করেছেন।
২০০১ সালে বন বিভাগে নৈশ প্রহরী পদে চাকরী গ্রহনকালে সরকারী চাকরীতে প্রবেশের বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার কথিত মল্লিকের বেড় আদর্শ বিদ্যালয় থেকে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে উক্ত প্রত্যয়ন পত্রের জন্ম তারিখ মোতাবেক ভোটার তালিকার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহন করেন। এছাড়া এস,এস,সি পাশের সনদ ও ৮ম শ্রেনী পাশের সনদে উল্লেখিত মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম সেখ একই ব্যক্তিমর্মে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমানিত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, এ দীর্ঘ সময় ধরে মোঃ সিরাজুল ইসলামের চাকুরীতে প্রবেশের বয়স কম দেখানোর বিষয় নিয়ে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে একাধিক বার তথ্য যাচাই বাছাই করে।যার ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদন গত বছর ২৫ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট দাখিল করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীরা বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরি গ্রহণের দায়ে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হলেও আদায় করা হয়নি অভিযুক্ত কর্তৃক গ্রহণকৃত সরকারী অর্থ। তারা সরকারী অর্থ আদায়ের দাবী জানিয়েছেন।
পাশাপাশি তারা এও জানান বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশেষ কৃপাদৃষ্টি সিরাজের উপর থাকায় আনিত অভিযোগর ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণে এ দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ফেব্রুয়ারিতে তাকে বরখাস্ত করা হলেও এটি প্রকাশ পায় চলতি মাসে।