খান জাহান আলী থানা প্রতিনিধি :সম্রাট হাদু গাজী ও কিশোর গ্যাং লিডার রোমান সরদারের ছত্রছায়ায় চলছে মাদক ব্যবসা।খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে গিলাতলা বজারপাড়া, সোনাতলা খেয়া ঘাট, গাজী শহীদুল্লাহ্ আবাসিক প্রকল্প,হাদু গাজীর দোকানসহ বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া ভাবে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য।
ফলে এলাকায় বাড়ছে কিশোর,তরুন মাদকসেবির সংখ্যা। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক এবং দেশি- বিদেশি অস্ত্র। যার কারনে ফিটিংবাজী, চুরি ছিনতাইসহ বাড়ছে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড। সাধারণ মানুষ এসবের প্রতিবাদ করলেই হতে হচ্ছে হামলার শিকার। অনুসন্ধান ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, আটরা গিলাতলা ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি স্থানে মাদক সিন্ডিকেট এবং কিশোর গ্যাং রয়েছে। তার মধ্যে ৫নং ওয়ার্ডের বাজার ঘাটে রোমান সরদার গ্যাং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । উঠতি বয়সী তরুনদের কাছে গাজী শহীদুল্লাহ্ আবাসিক প্রকল্পের মাঠে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক সেবন ও বেচা-কেনা। এ গ্যাংয়ের প্রধান হাদু গাজী, কিলার রোমান ও হৃদয় এবং এদের ক্যাডাররা শুকৌশলে চুরি- ডাকাতিসহ মারাত্মক অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । এদের মধ্যে মাদক সম্রাট গাজী হাদিউজ্জামান ওরফে হাদু গাজী এলাকায় দিরঘদিন ধরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন কিছু্ই করতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি বলেন, ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদি হাসিনা সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম কিছুটা ভেঙে পড়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাড়া মহল্লায় মাদক এবং কিশোর অপরাধীদের অপতৎপরতা বেড়েছে।
এলাকাভিত্তিক ছোট-বড় গ্যাং তৈরির মাধ্যমে দলগতভাবে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে এসব সন্ত্রাসী। গভীর রাত পর্যন্ত এরা মাদক সেবন ও বেচা-কেনা করলেও এদের অভিভাবকদের ভূমিকা রহস্যজনক। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার এই মাদক নিয়ে নিউজ প্রকাশ হলেও অদ্যবধি কমেনি গিলাতলার মাদক ব্যবসা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীসহ সাধারণ জনগণ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খানজাহান আলী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন বলেন, মাদকে কোন ছাড় নেই, খানজাহান আলী থানায় মাদক অভিযান অব্যাহত রয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী সে যেই হোক না কেন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Notifications