রাজারহাটে অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ,প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
রাজারহাটের সুন্দরগ্রাম পুটিকাঁটা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাতানো কমিটি দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থী অভিভাবক ও নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সাজানো ও মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিয়োগ করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে,উপজেলা সদরের সুন্দর গ্রাম পুটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিভাবককে বাদ দিয়ে গোপনে এবং অভিভাবক না হওয়া সত্বেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলমও তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে লিখিত নির্দেশনায় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেন। তবে কমিটি বাতিল না করায় গত ২৮অক্টোবর সুন্দরগ্রাম পুটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে রাজারহাট সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা করেন। যা বিচারাধীন রয়েছে। অথচ পরবর্তীতে রহস্য জনক কারনে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ স্থগিতাদেশ বাতিল করেন এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড দেখিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেখানো হয়। এই ভূয়া নিয়োগে দুই বিদ্যালয়ের দুই প্রধান শিক্ষককে প্রতিদ্বন্ধী দেখানো হয়। এর প্রতিবাদে অনিয়মতান্ত্রীক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও ভূয়া প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাতিল এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে অবিলম্বে অন্যত্র বদলী ও শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন এবং প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এসব কারনে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ওই বিদ্যালয়ের কথিত প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম।
এক পর্যায়ে সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে গত ১৬ ডিসেম্বর রফিকুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদকারী আবুল হোসেন,ফারুক হোসেন,রফিকুল,নুর ইসলাম,শাকিবুল ইসলাম ও রেজাউল সহ অজ্ঞাতনামা নিরীহ গ্রামবাসীদের নামে চুরি,চাঁদাবাজীর মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করেন। পরে ২১ডিসেম্বর এই সাজানো মামলার সকল আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (১ম) বিচারক সঞ্জিতা বিশ্বাস। এঘটনার প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগীরা ২১ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন,তারা আমাকে মারধর করছে,টাকা কেড়ে নিয়েছে,চাঁদাদাবী করেছে সব সত্য।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার জানান,মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে,যাচাই বাচাই করে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।