1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

তানোরের ঐতিহ্য দু’শ বছরের প্রাচীন ‘ভাগনা মসজিদ’

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১

সৈয়দ মাহামুদ শাওন, তানোর (রাজশাহী): রাজশাহী জেলার উত্তর-পশ্চিম কোণে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শিবনদী এবং বিলকুমারীর পশ্চিমপাড়ে বরেন্দ্র ভূমির প্রাণকেন্দ্র তানোর উপজেলা। তানোর থানা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয় ১৯৮৩ সালে।

তানর হতে ‘তানোর’ শব্দটির উদ্ভব। তানর অর্থ তান-রহিত অর্থাৎ জীবন স্পন্দনহীন, নিস্প্রভ ও নিরানন্দ জনপদ। পুরাকালে গাছপালাহীন মরুপ্রায় এ অঞ্চলে জনপদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না। কালের আবর্তে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে আজকের এ জনপদ। ‘তানোর’ বর্তমানে একটি শস্য শ্যামল খাদ্য ভান্ডার যা গোটা বাংলাদেশের খাদ্য চাহিদা পুরণে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। এখানকার ধান ও অন্যান্য ফসলাদি বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায়। প্রাচীনকালে মানুষের বসবাস কম থাকলেও এখানেও রয়েছে প্রাচীন অনেক স্থাপনা। তানোর উপজেলায় রয়েছে জমিদার বাড়ি, মাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ প্রাচীন বেশ কিছু স্থাপনা।

এগুলোর মধ্যে কালের সাক্ষী হয়ে এখনও মাথা উচিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে তানোর উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের শিধাইর ভাগনা গ্রামে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ঐতিহ্যবাহী ভাগনা মসজিদ। মসজিদটি আসলে কবে কে নির্মাণ করেছেন তার সুস্পষ্ট তথ্য স্থানীয়রা বলতে পারেননি। গ্রামের মানুষজন সাধারণত বলে তাদেরই কোন পূর্ব পুরুষ এই মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে মসজিদটি এলাকাবাসীর মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে আসছে এবং জুম্মার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়।
তবে ধারণা করা হয়, ১২২০ হিজরী থেকে ১২২৬ হিজরীর দিকে এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ১১ শতক জায়গা নিয়ে নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের আয়তাকার মসজিদটির প্রাচীর জুড়ে প্রাচীন কারুকাজের লতাপাতা, ইসলামী ঐতিহ্যর টেরাকোটা। যা যে কারও মন জুড়িয়ে দিবে।

মসজিদটির এক সারিতে তিনটি গম্বুজ বিশিষ্ট ফারসি লেখার ছাপ রয়েছে। উক্ত লেখায় নির্মাণদাতাদের নামসহ বলা হয়েছে আমার পবিত্র হাত দ্বারা ভিট গাথিয়া নির্মাণ করিলাম আপনারা জমায়েতের সহিত নামাজ পড়বেন। গম্বুজের শীর্ষবিন্দু ক্রমহ্রাসমান বেল্টযুক্ত চারকোণে রয়েছে স্তরযুক্ত ও নকশা খুচিত বেল্ট করা চারটি চিকন মিনার।

মসজিদের সামনের দেয়ালের মধ্যে দরজার দুপাশে গম্বুজের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে আরো দুটি ক্ষুদ্র মিনার। মিনারগুলো দেয়াল সংযুক্ত বর্গাকার। একইরকম আরও দুটি ক্ষুদ্র বর্গাকার মিনার আছে মসজিদটির পশ্চিম দেয়ালে। মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি মাঝারি আকৃতির দরজা। দরজা তিনটিতে রয়েছে ছাদ ও দরজার উপরিভাগে মধ্যস্থানে রয়েছে নকশা। এখানে নির্দিষ্ট কোন মেহরাব নেই। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে রয়েছে প্রাচীন নকশা এবং অন্তঃপ্রকৃতির এক দরজার নকশা খঁচিত শিল্প সৌন্দর্যের অপূর্ব লতা-পাতায় পরিপূর্ণ।

মসজিদটি নির্মাণ সম্পর্কে ফারসি ভাষায় লেখা একটি কালো ফলক রয়েছে মাঝের দরজার উপরিভাগে। ফলকের ভাষা ও লিপি অনুযায়ী ব্রিটিশ আমলের রাজত্বকালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে ধরা হয়। উক্ত লিপি অনুযায়ী বোঝা যায় মসজিদের নির্মাণে কাজ করেছিল ফরাসি বা ইরানের কারিগররা। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে এক সময় প্রবল ভূমিকম্পে মসজিদটির ব্যাপক ফাটল ধরলে মসজিদের ভেতরের মধ্যস্থানে ২টি পিলার নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে গ্রামটির মুসল্লিগন বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদটির পূর্ব পার্শ্বে জায়গা বাড়ানো হয়েছে। সারা বছরই বিভিন্ন এলাকার লোকজন মসজিদটি দেখতে আসেন ও নামাজ আদায় করেন।

বিভিন্নসময় এলাকাবাসীর উদ্যোগে সংস্কার ও রং করার কারণে এর প্রাচীন রং পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় যদি সংস্কার কাজ করা হয় তাহলে এই দর্শনীয় প্রাচীন মসজিদটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।

Facebook Comments
৭৬ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি