গাজীপুর প্রতিনিধি:রাকিব হাসান আকন্দ
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচন রিটানিং কর্মকর্তার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষন করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শ্রীপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী খান। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় শ্রীপুর রেল মসজিদ রোডে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ মত ব্যাক্ত করেন।
অ্যাডভোকেট কাজী খান অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী আচরণের ব্যাপারে রিটার্ণিং কর্মকর্তা তাঁর প্রতি বিদ্রুপ আচরণ করছেন। গত ৯ জানুয়ারী মাওনা চৌরাস্তায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবিদের একটি দল প্রচারণার সময় সেখানে তাদের বাধা প্রদান করা হয়। ১০ জানুয়ারী তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনিছুর রহমানের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। ওই ঘটনায় তার কর্মী সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ওইসব অভিযোগ রিটার্ণিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফলে শ্রীপুর পৌর নির্বাচন রিটার্ণিং কর্মকর্তার অধীনে সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তিনি দাবী করেন, তাঁর নেতা-কর্মীদের এলাকা ছাড়া করে রাখতে নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকেরা নিজেরাই তাদের অফিস ভাংচুর করে, নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে নানা কৌশলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাঁর কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা ও মারধোর করা হচ্ছে। ভোটারেরা যদি কেন্দ্রে যেতে না পারে তবে এটি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। উন্নয়ন করতে না পেরে জনগণের কাছে ভোট চাইতে না পারায় তার নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশল করছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বিএনপি মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির সরকার, সদস্য আব্দুল মোতালেব, নাহীন আহমেদ মোমতাজী, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক গোলনাহার, অ্যাডভোকেট আহসান কবির প্রমূখ।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের নামে শ্রীপুর থানায় কোনো মিথ্যা মামলা হয়নি। নৌকার প্রার্থী তিনবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আগামীতেও তাঁর বিজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি প্রার্থী ও তার লোকজন নানা ধরণের উদ্ভট কথাবার্তা বলে যাচ্ছে। এসব কোনো কথার কোনো ভিত্তি নেই। উপরন্তু তাঁরাই রোববার রাতে বৈরাগীরচালা এলাকায় নৌকা প্রতীকের অফিস ভাংচুর করেছে।
এসব বিষয়ে রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, বিএনপি মেয়র প্রার্থীর আমার প্রতি বিশ^াসহীনতার কথা শোনেছি। কিন্তু তার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে অঅমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সুষ্ঠ’ নির্বাচন অনুষ্ঠঅনের স্বার্থে সকল প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ও সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।