ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহন মিথ্যা মামলা ও সন্ত্রাসী হুমকি ধামকি দিয়ে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আসুলী ৬নং ওয়ার্ডের ইউনুছ কুট্টি মিয়ার খরিদা ও ওয়ারিশী এসএ ৬২,৭২,৭৪ নং খতিয়ানের ৪৭৪ ও ৪৭৫নং দাগের ৪০ শতাংশ জমির মালিক ইউনুছ কুট্টি চৌকিদারের বসত বাড়ি ঘর রয়েছে। ঐ জমির উপর কুদৃষ্টি পরেছে চৌকিদারের দৌহিত্র ইউছুফ ঝান্টুর। সে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে চৌকিদারকে হয়রানি ও সন্ত্রাসী হামলা করে জমি ও বসত ঘর জোরপূর্বক ভাবে দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কুট্টি মিয়া চৌকিদার। চৌকিদার আরো জানান, বিগত ২০০৭ ইং সনে ঝান্টু মিনার মসজিদ সংল্গন তার একটি দোকানের প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মালামাল সহ তার দোকান ভিটি লুটপাট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আমলে এনে স্থানীয় গন্যমান্য শালিসদের প্রতিবেদন দেওয়ার দায়িত্ব দেন। শালিসপক্ষ সঠিক তদন্ত পেশ করলেও তিনি কোন সু বিচার পান নি বলে অভিযোগ তোলেন চৌকিদার। চৌকিদার আরো জানান, কিছুদিন পূর্বে ঝান্টু ভোলা কোর্টে ১৮/১২/২০২০ইং তারিখে তার একটি ৩৩ বন্দের ঘরসহ প্রায় ০২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- এমপি ১৩৫/লাল, তারিখ: ০৯/১২/২০।
এই ব্যপারে মামলায় বর্ণিত ঘটনাস্থল এবং আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, বিগত প্রায় ৪-৫ বছর পূর্বে চৌকিদার বাড়ি করার জন্য ভিটি ভরাট করলে ঝান্টু জোরপূর্বক জবর দখল করার জন্য আনুমানিক ০১ভান টিন দিয়ে দুইটা চালা দাড় করিয়ে রাখে। যা পরবর্তীতে বৈশাখী ঘূর্নিঝড়ে ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ঝান্টুর মামলায় বর্ণিত অদ্য ১৮/১২/২০২০ইং তারিখের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান এলাকাবাসীরা। এই ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি এবং মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ভোক্তভোগী কুট্টি মিয়া চৌকিদার।