Iমোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,নোয়াখালী।
হাতিয়ায় পল্লী ডাক্তারকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় ও গৃহবধূর শ্লীলতাহানি চেষ্টায় করা মামলাতে ২৪ ঘন্টার বিতরে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ বখাটে যুবককে পুলিশ।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের জনতা ঘাট সংলগ্ন আদর্শ গ্রামে অনৈতিক কাজের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক পল্লী ডাক্তারকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পল্লী চিকিৎসক আদালতে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছেন।গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মোল্লা গ্রামের আবদুল হোসেন মিকারের ছেলে জিয়া বাহিনি প্রকাশ জিহাদ (৩০),আদর্শ গ্রামের খবিরের পুত্র ফারুক বাহিনি (৩০),একই গ্রামে আব্দুল করিমের ছেলে আবু তাহের (২৭),আবুল কালামের ছেলে নবীর উদ্দিন (৩২),ও মিয়াজী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০)।
সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য নিশ্চিত করেন গণমাধ্যম কর্মীদের।
পুলিশ সুপার জানান,গত ১ জানুয়ারি ওই এলাকার কয়েকজন বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে স্থানীয় ওই পল্লী ডাক্তারকে এবং এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি চেষ্টায় মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
পরে তাদেরকে একটি গাছের সঙ্গে রসি দিয়ে বেঁধে রেখে ছবি তুলেন। এক পর্যায়ে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশের নজরে আসলে রবিবার জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে নির্যাতনের শিকার ওই পল্লী ডাক্তার বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।সারাদেশব্যপী সচেতন নাগরিকের মনে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং আসামী গ্রেফতারের জোর দাবী করেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট।