সাইফুল ইসলাম,মহেশপুর(ঝিনাইদহ)থেকেঃ
১৮৬৯ সালে স্থাপিত দেশের প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা মহেশপুর পৌরসভা। ৭৫’এর পর এখানকার প্রেক্ষাপট বদলে যেতে থাকে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে। এক সময় জামাত- বিএনপি’র অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখনো সেই প্রভাব আছে মহেশপুরে। স্বাধীনতার পর জামাত ২ বার, বিএনপি ৪ বার ক্ষমতায় ছিলো। ২০০৮ এর পর আওয়ামীলীগ মহেশপুরে ঘুরে দাড়ায় শফিকুল আজম খান চনঞ্চলের মধ্য দিয়ে। ২০১৫ সালে আব্দুর রশিদ খাঁন পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে মেয়র ছিলেন বিএনপির আমিনুল ইসলাম খান চুন্নু। বর্তমান মেয়র বলেন, আমার মেয়াদ কালে চেষ্টা করেছি সার্বিক উন্নয়নের জন্য। আমার বাজেট আর বরাদ্ধের উপর সীমাবাদ্ধতা থাকার পরেও আমি ৮৫% উন্নয়নের কাজ করেছি। তিনি বলেন, এই পাঁচ বছরে আমি মহেশপুর পৌরবাসীর জন্য উন্য়নমূলক কার্যক্রেেমর দিক বিবেচনা করে আমার নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা ইনশাল্লাহ্ এবার আমাকে পূণরায় নমিনেটেড করবেন বলে আমার বিশ^াস। আর সেই বিশ^াসের উপর ভর করে আগামী পৌরনির্বাচনে মাঠে থাকবো।
মহেশপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার । বিগত নির্বাচনে জামাত পেয়েছে ৩হাজার, বিএনপি ১হাজার ৬শ ভোট। বর্তমান মেয়র ৯হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। রশিদ খান মহেশপুরের ৫নং ওয়ার্ডের ভোটার। ঝিনাইদহ সরকারি কলেজে ও যশোর সিটি কলেজ থেকে গ্রেজুয়েশন করেন । ১৯৭৯ তে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন এ পৌরসভার সাড়ে ২১হাজার ভোটারদের নাগরিক সুবিধার জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নত করা, শহরের আলোর ব্যবস্থা, রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন করা সহ অনেক সমস্যা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার পারিবারিক ঐতিহ্যটা দীর্ঘদিনের। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত তার দাদা মরহুম শাহজাহান আলী খান এখানকার নন্দিত জন প্রতিনিধি ছিলেন। চাচা শামসুল হুদা খান ৩ বারের জন প্রতিনিধি। তার ভাই বর্তমান এমপি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম আজম খান চঞ্চল। মেয়র বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে বারবার জামাত-বিএনপির আমলে নাজেহাল হয়েছেন। এরশাদের আমলে যশোর শহর থেকে ১৩ জনকে রাতের আধারে তুলে নিয়ে সেনানিবাসে টর্চার সেলে বহু নির্যাতন করা হয়েছেন। ২০১৩সালে জামাতের ৪মামলার আসামী হয়েছিলেন । তারপরও তিনি দলের আদশে অটল ছিলেন।
৩নং ওয়ার্ডির কাউন্সিলর রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, পৌর এলাকার ড্রেনেজ সিস্টেম, শহরের লাইটপোস্ট আর ডাস্টবিন নির্মানসহ জলাবদ্ধতা নিরসন, পাশাপাশি ড্যাম্পিং ষ্টেশন নির্মানের মধ্যে দিয়ে মহেশপুর পোরসভাকে বাসযোগ্য নগরায়নের জন্য মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁনের বিকল্প নেই। কাউন্সিলর কাজী আতিয়ার রহমান বলেন, এলাকার দুঃস্থ মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, বাজেট আর বরাদ্দের উপর সীমাবদ্ধতার বিষয় বিবেচনায় রেখে জনগনের জন্য কাজ করেছেন। পৌরবাসী জানায়, বর্তমান মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন করোনা ভাইরাসের সংকটকালীন সময়ে আমাদের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখা সহ বিভিন্ন উপকরন দিয়েছেন। এবারও যাতে তিনি নৌকা প্রতীক পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হতে পারেন সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।